ঢাকা বৃক্ষ রোপন অভিযান : পর্ব – ০১

সকল প্রাণী বেঁচে থাকে অক্সিজেন গ্রহণ করে,আর তার প্রধান আধার বৃক্ষ। তাইগাছ যতো কমবে প্রাণিকূলের বেঁচে থাকাও ক্রমেই হুমকির মুখে পরবে। আধুনিক এ যুগেও বেঁচে থাকার জন্য এই পরম বন্ধুর যত্ন না করে তাকে নির্বিচারে নিধন করে চলেছি। যার ফলশ্রুতিতে গাছ ক্রমেই দুস্প্রাপ্য হয়ে উঠছে বিশেষ করে আমাদের রাজধানী ঢাকা শহরে।

মহানগরীর সারি সারি অট্টালিকার মাঝে যানজটের চাপে দুষিত র্কাবণ ডাই অক্সাইডের বিষ থেকে মুক্তি পাবার অন্যতম উপায় সবুজায়ন ।

সম্প্রতি এইড ফাউন্ডেশনের ঢাকা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে (মোহাম্মদপুর, বাবর রোড) বহুতল ভবন নির্মাণের কারণে বেশ কয়েকটি গাছ কাটা পড়ে, একটি ছোট বকুল গাছকে রক্ষা করে এইড ফাউন্ডেশনের কর্মীরা শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখের (শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের গেট) সড়ক দ্বীপে উক্ত গাছটি সহ আরো কিছু বৃক্ষ রোপন করা হয়।

জাতীয় বৃক্ষমেলা থেকে সংগৃহিত বিরল প্রজাতির নাগলিংগম, স্বর্ণচাপা,ঔষধী গাছ সহ বিভিন্ন গাছের চারাকলেজ গেটের সড়ক বিভাজকে,শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাঝের সড়ক দ্বীপে ও বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সড়কের পাশের ফাকা জায়গায় আজ রবিবার ২১ জুন ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ বৃক্ষ রোপন অভিযানের শুভ সূচনা হয়। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনের আশপাশে বৃক্ষ রোপনের অনেক জায়গা রয়েছে, সংরক্ষিত এলাকা হওয়ায় আগামীতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে বিরল প্রজাতির বৃক্ষ রোপন করবে এইড ফাউন্ডেশন ।

আগামী কাল সোমবার বিকাল ৫ টায় শ্যামলী পার্কে বৃক্ষ রোপন করা হবে। আগামীতেও ঢাকাতে এইড ফাউন্ডেশনের বৃক্ষ রোপন কর্মসুচী অব্যহত থাকবে, আগ্রহী বৃক্ষ প্রেমিদের সবান্ধব আমন্ত্রিত। একইসাথে যারা এই কাজে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে চান তাদের “গাছ পাগল” গ্রুপের সদস্য হওয়ার আহ্বান রইলো।

আজকের এই বৃক্ষ রোপন অভিযানের নেতৃত্ব দেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জনাব তারিকুল ইসলাম পলাশ। একটি গাছ একটি প্রাণ তাই,পৃথিবীকে বাচাঁতে হলে গাছ লাগানো চাই !